রোগ নির্ণয়ে অত্যাধুনিক ইউ এস জি

ইন্টারভেনশনাল প্রসিডিওয়ের ক্ষেত্রে ইউ এস জি সেরা উপায়। প্রায় সব ধরনের প্রসিডিওরই এর মাধ্যমে করা যায়। শুধুমাত্র ফুসফসের কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে সিটি করা হয়।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই পরীক্ষাগুলি করার জন্য লোকাল অ্যানাশথেসিয়া বা স্থানীয় ভাবে অজ্ঞান করে নিয়েই করা হয়। এই প্রক্রিয়া খুবই সরল এবং সহজ কিন্তু তার জন্য চাই দক্ষ প্রকৌশলী এবং অত্যাধুনিক ইউ এস জি যন্ত্র। যা আমাদের নার্সিং হোমে দুই রয়েছে।
প্রক্রিয়া শুরুর আগে রোগীর অনুঘাত নেওয়া হয়। রেডিওলজিস্ট লোকাল অ্যানাশথেসিয়ার ইঞ্জেকশন দেন ইউ এস জি গাইডেন্স অনুসারে যে সব প্রসিডিওর করা যায় তা হচ্ছে। এই রকম –
১) ডায়াগনোস্টিক বা রােগ নির্ণায়ক
২) থেরাপিউটিক বা রোগ উপসম সংক্রান্ত ডায়াগনস্টিক প্রসিডিওর গুলির মধ্যে FNAC, বায়োপ্সি উল্লেখযোগ্য যা নিয়মিতই আমাদের এখানে হয়।
FNAC করা হয় মূলত দেহে কোনো লাম্প ইত্যাদি থাকলে তা আসলে বুঝে নিয়ে করা হয়। ইউ এস জি গাইডেন্স মেনে একটি সরু সুঁচ প্রবেশ করানো হয়। এরপর যেই স্থান থেকে সূঁচের মাধ্যমে স্যাম্পল সংগ্রহ করে তা সাইটোলজিকাল পরীক্ষার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
যদি এই পরীক্ষায় কোনো নির্ভরযোগ্য ফল না পাওয়া যায় তখন বায়োপ্সি করা হয়। উক্ত স্থান।
থেকে এক টুকরো টিস্যু তুলে এনে প্যাথলজিতে হিস্টোপ্যাথলজিকাল পরীক্ষার মাধ্যমে নিশিত ফলাফল জানার জন্য পাঠানো হয়। | থেরাপিউটিক প্রসিডিওর গুলিও ইউ এস জি গাইডেন্সে সুনিপুনভাবে করা যেতে পারে।
আমাদের এখানে তিনটি থেরাপিউটিক পরীক্ষা নিয়মিত
প্লেউরাল ট্যাপিং – প্লেউরাল স্পেস থেকে ছোট বা
কম অথবা বেশী মাত্রায় ফ্লইড সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা করা।
| লিভারের পাস – লিভার থেকে নিঃসরণ | হওয়া তরল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*