নব আনান্দে জাগো আজি…

শুরু হল আরও একটি নতুন।
বছর। অনেক আশা, প্রচুর। আকা নিয়ে শুরু করতে যাচ্ছেন নতুন আরও একটি বছর। ইনফার্টিলিটির সমস্ত সংশয় কাটিয়ে সফল ভাবে কনসিভ করার পরেও থেকে যায় অনেক উৎকণ্ঠা। নতুন বছরে সেই সব। উৎকণ্ঠাকে পাশে সরিয়ে রেখে আশা করতেই পারি যে আপনার। কোল জুড়ে আলো করে আসছে ফুটফুটে সন্তান। কিন্তু এখানেই আমাদের দায় সেরে যায়
। গর্ভসঞ্চার হওয়ার পর সতর্কতার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। তখন শুধু আপনি নিজের নয় গর্ভস্থ ভ্রুণের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবতে শুরু করেন। তাই জীবনশৈলী বা লাইফস্টাইলে তখনই আমূল বদল আনা দরকার। যা আপনি যত দক্ষতার সঙ্গে করবেন তত ভালােভাবে। প্রেগনেন্সি সামলাতে পারবেন। তাই আসুন কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে বুঝে নেওয়া যাক মা ও তার গর্ভস্থ ভ্রুণের জন্য উপকারি হতে পারে ঠিক কেমন জীবন শৈলী। | সব সময় কাজ,
সংসার ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর উদ্বিগ্ন থাকেন?
নিজেকে হালকা, রিল্যাক্সড রাখুন। বই পড়া, গান শোনা, গল্প করা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে দেহ ও মনকে চাপমুক্ত রাখলেই দেখবেন দ্রুত এনার্জি ফিরে আসবে জীবনে।। |
ঘুম ঠিকঠাক হচ্ছে তো?
সাধারণত যখন ঘুমোতেন, চেষ্টা করুন তার আগেই শুয়ে। পড়তে। গর্ভসঞ্চারের শুরুতে ধকল একটু বেশি তাই শরীর বিশ্রাম চায়। চাই পর্যাপ্ত ঘুমও। এমনকি দুপুরবেলা ক্লান্তিবােধ হলেও শুয়ে থাকতে পারেন। এতে শরীরে এনার্জি বাঁচে। |
নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড, মাল্টি ভিটামিন, মাল্টি মিনারেল সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করছেন তো ?
চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এই ওষুধগুলি নিয়ম মেনে সেবন। করুন। মর্নিং সিকনেস থেকে ফাস্ট ট্রাইমেস্টারে যে পুষ্টিজনিত ঘাটতি হয় তা কাটাতে এইগুলি খুবই জরুরি। |
গর্ভাবস্থায় এক্সারসাইজ করা উচিত?
হাই – রিস্ক প্রেগনেন্সি না হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে নিদিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতেই পারেন। এতে বরং উপকারই হয়।
ধূমপান, মদ্যপান এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন?
ভ্রুণের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে এই দুটি ব্যপারই। ধূমপান ও মদ্যপানের ফলে টক্সিক পদার্থ প্লাসেন্টা পেরিয়ে গর্ভে প্রবেশ করে স্কুণের অক্সিজেন সরবরাহ ব্যাহত করতে পারে। এমনকি প্যাসিভ স্মকিংও খারাপ। তাই স্বামীকেও বলুন ধূমপান ছাড়তে।
প্রচুর কফি পান করছেন?
আগেও বলেছি এখনও জানাচ্ছি, কফিতে থাকা ক্যাফিন মাত্রাতিরিক্তভাবে শরীরে গেলে মিসক্যারেজ হতে পারে।
খাওয়া-দাওয়া এখনও লাগামছাড়া?
পাস্তুরাইজড নয় এমন চিজ, ক্যানবন্দী রান্না করা খাবার, রেডি টু কুক বা চিল্ড ফুড ইত্যাদি গর্ভাবস্থায় খুবই খারাপ। খাদ্যগুণ তো ।
থাকেই না উল্টে নানা বিপদ ডেকে আনে। তার চাইতে তাজা সজ্জি, স্যালাড, মাছ মাংস রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ খাচ্ছেন?
খুব ভয়ঙ্কর। এই সময় যে কোনো সমস্যা হলেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তাঁর পরামর্শ ছাড়া কোন ওষুধ খেলে বিপত্তি হতে পারে। কারণ বেশ কিছু ড্রাগ আছে যা বাড়ন্ত ভ্রুণের ক্ষতি করে।
জল কতটা পান করছেন?
এই সময় দিনে অন্তত দু- তিন লিটার জলপান করুন। প্রেগনেন্সির সময় এবং পরেও যথেষ্ট পরিমাণ জল খুব সাহায্য করে। তাই গর্ভাবস্থায় দেহে প্রচুর ফ্লুইড যাওয়া দরকার। জল ছাড়াও ফলের রস, হার্বাল টি নিয়মিত পান করুন।
এইগুলি সবই কিছু আদর্শ জীবনশৈলী যা
একজন গর্ভবতী মহিলার অবশ্যই পালন করা উচিত। আজকের দিনে কাজের চাপে মানসিক ও শারীরিক নানা ধকল নিতে হয়। যা অনেকসময় গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধির পথ। আটকায়। মনে রাখবেন ফাস্ট ট্রাইমেস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এইগুলি ছাড়াও আপনার ওজন, রক্তচাপ ইত্যাদি পরীক্ষা করে আপনার চিকিৎসক যে ধরনের জীবন যাপনের পরামর্শ দেবেন | তা মেনে চলুন। আপনার সফল মাতৃত্বের জন্য রইল উষ্ণ। অভিনন্দন। নতুন বছরে নবজাতকের কলকাকলিতে ভরে উঠুক আপনাদের সংসার।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*