রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় আইসিডিডিআরবি-তে

রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। আইসিডিডিআর-বি’র কলেরা হাসপাতালে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুরা রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে এসে ভর্তি হচ্ছে।

আইসিডিডিআর-বি’র কলেরা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে ৬৫০ জন রোগী আসছে। এদের বেশিরভাগই শিশু।

আইসিডিডিআর-বি’র হাসপাতালে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করে জানান, একজন অভিভাবক তার শিশুকে হাফ লিটার পানিতে দুই প্যাকেট স্যালাইন দিয়েছে। আবার অ্যান্টিবায়োটিক দিয়েছে চারটা। অথচ হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুকে মাত্র দুটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আরেকজন মা মাত্র একশ’ গ্রাম পানিতে এক প্যাকেট ওরস্যালাইন গুলে ছেলেকে খাইয়েছেন। এরপরই ছেলের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে এবং এখন সে আইসিইউতে আছে।

এই  চিকিৎসক আরও  জানান, কারও ডায়রিয়া হলে অবশ্যই তাকে ওরস্যালাইন খাওয়াতে হবে। এক প্যাকেট ওরস্যালাইন হাফ লিটার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। ওরস্যালাইন গরম পানিতে দেওয়া যাবে না।

আইসিডিডিআর-বি’র মিরপুর রিজিওনের সিনিয়র ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট জামিলা খাতুন বলেন, ‘মিরপুর এলাকায় রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত শিশু ও রোগীর সংখ্যা অনেকটা কমেছে। মিরপুরে বস্তি এলাকা বেশি এবং সেখানে বিহারিদের ক্যাম্প রয়েছে। ওদের পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর। ওখানে ডায়রিয়াও হয় বেশি। তবে কলেরার ভ্যাকসিন খাওয়ানোর পর  রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। আগে যে হারে রোগী আসতো সেই তুলনায় অনেক কমে গেছে। অনেকগুলো পিআর প্রজেক্ট ওখানে চলছে। ফলে উপকারিতা পাওয়া যাচ্ছে।’

হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এখন রোটা ভাইরাসের সিজন— এই কারণে রোগী বেড়েছে। যেসব রোগী আসছে তার ৯৫ ভাগই শিশু।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*