কৃত্রিম মিষ্টি কি স্বাস্থ্য সম্মত

আপনি ডায়াবেটিস হলে চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম মিষ্টি আপন করে নেন,

গবেষকরা জানাচ্ছেন কৃত্রিম মিষ্টি কখনোই ডায়াবেটিস বা মেদবহুলতার ঝুঁকি কম করতে পারে না।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়ে থাকে, কৃত্রিম মিষ্টি ডায়াবেটিস বা মেদবহুলতার পক্ষে উপকারী কিন্তু আসলে তা নয়।সাম্প্রতিক গবেষনায় দেখা গেছে যে এই বিষয় পুনরায় ভাবা দরকার।গবেষনায় দেখা গেছে যে চিনির বিকল্পে ব্যবহৃত পন্য গুলি ডায়াবেটিস বা মেদবহুলতার ক্ষেত্রে প্রায় একই প্রভাব ফেলে।তাই রেগুলারের পরিবর্তে ডায়েট সোডার ব্যবহার খানিক টা ভষ্মে ঘি ঢালার মতই।

এখনও পর্যন্ত হওয়া সবচেয়ে বড় পরীক্ষায় দেখা গেছে, চিনি বা চিনির বিকল্প কোন পন্যের ব্যবহারে শরীরের জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় দারুন প্রভাব ফেলে।

এই প্রক্রিয়া রক্ত ও ধমনীর ওপর কিরকম প্রভাব ফেলে তাও পরীক্ষা করে দেখেছেন গবাষকরা।চর্বি ও কোষের ওপরেই মুলত এই পরীক্ষা করা হয়।

গবেষকেরা জানান, ‘চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত নানান পন্য আমাদের রোজকার ডায়েটে থাকা সত্ত্বেও শরীরে ডায়াবেটিস ও মেদ বৃদ্ধির প্রভাব কম নয়’। ‘আমাদের গবেষনায় দেখা গেছে চিনি কিংবা তাঁর বিকল্প যে কোনো পন্য শরীরে একই রকম প্রভাব ফেলে,  যদিও তা একে অপরের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন’।

তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়,কোনটা বেশি অপকারী চিনি না কৃত্রিম মিষ্টি?

গবেষকদের মতে এই প্রশ্নের সঠিক কোন উত্তর দেওয়া মুশকিল, কারণ আপাত দৃষ্টিতে উভয়েই শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে,তাই এই বিষয়ে আরও পরীক্ষার প্রয়োজন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*