দৈনন্দিন জীবনযাপনের পদ্ধতি ও মানসিক অবস্থার প্রতিফলন ডায়াবেটিস, প্রকৃতিগত দিক থেকে এর নানা ভেদ থাকলেও আমাদের দেশে মূলত টাইপ ২ ডায়াবিটিসের সংখ্যা বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, আমাদের দেশে ৯০ শতাংশ এর অধিক ডায়াবিটিস আক্রান্তই টাইপ ২-এর পর্যায়ে পড়েন। আর আধুনিক নানা পরীক্ষায়, ডায়াবিটিসের প্রাথমিক উপসর্গ চোখে ধরা পড়ে ।
সাধারণত ঘন ঘন প্রস্রাব, বেশি ঘুম ও ওজনের কিছুটা পরিবর্তন ছাড়া খুব একটা উপসর্গও চোখে প়ড়ে না। এর সঙ্গে আরও একটি লক্ষণ প্রায়ই আমরা অবহেলা করি— ঝাপসা দৃষ্টি। এ ক্ষেত্রে ধরেই নিই, নেহাতই তা চোখের সমস্যা। তাই আপাত নিরীহ এই সব লক্ষণগুলোকে অবহেলা করতে গিয়েই ঘটে যায় বিপত্তি। পরবর্তীতে রক্ত পরীক্ষার সময় ডায়াবিটিসের বাড়বাড়ন্ত চমকে দেয়।
‘‘উচ্চ ডায়াবিটিসের প্রভাবে চোখের রেটিনা সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেক সময় ডায়াবিটিসের শুরুর দিকে চোখের মধ্যে নানা রকম চিহ্ন দেখা যায়।’’ দিন ডায়াবিটিস শরীরে ঘাপটি মেরে থাকলে চোখের কী কী ক্ষতি হয় ও কোন কোন উপায়ে চোখের এই ক্ষতি রুখতে পারা যায়?
- চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবিটিসের প্রভাবে চোখে যে সব উপসর্গ দেখা দেয়, তার মধ্যে অন্যতম চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করা।
- অনেক সময় দ্রুত ছানি পড়তে পারে চোখে।
- রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চোখে ছোট বড় নানা স্পট দেখা যায়।
- অনেক সময় চোখ থেকে রক্তও পড়তে পারে।
সাবধান :
- ডায়াবিটিসের প্রভাবে হওয়া চোখের ক্ষতি রুখতে গেলে ডায়াবিটিস প্রতিরোধ করাটাই মূল লক্ষ্য। ডায়াবিটিস হলে অবশ্যই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর পরীক্ষা ও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা পরিবর্তন করুন।
- বছরে দু’-তিন বার চোখ পরীক্ষা করান। ডায়াবিটিসের জন্য চোখের যে সব ক্ষতি হয়, তা রুখতে নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন। আগে থেকেই চোখের সমস্যা থাকলে সাবধান হতে হবে আরও বেশি।
- কোনও ভাবেই রক্তচাপ বাড়ানো যাবে না, নিয়ন্ত্রণ করতে হবে কোলেস্টেরলও।
- ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাঁটাচলা, টুকটাক শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হবে
Be the first to comment