অতিচিন্তা একেবারে না !

অনেকেই ভাবনার জগতে বাস করতে ভালোবাসেন। নিজের মনে কল্পনার জগৎ গড়ে নিয়ে তার আনাচেকানাচে বিহার করতে ভালোবাসেন। সাধারণত, শিল্পী মানুষেরাই যখনতখন বিভোর হয়ে পড়ে কল্পনার দুনিয়ায়। কিন্তু যিনি এই পথ না মাড়িয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তায় ভোগেন, সেটাই অতি চিন্তা । ঘুমের মধ্যেও এঁদের মস্তিষ্ক চিন্তা করে চলে সে সকল অহেতুক ভাবনা। অর্থাৎ, বিশ্রাম পায় না। অকারণ চিন্তা, এঁদের অভ্যাসে পরিণত হয়। যার থেকে অনেক রকমের মানসিক, শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হই আমরা। কাজেরও ক্ষতি হয় অনেক। এক সময় মাথা ঠিকমতো কাজ করে না। 

তাই সমস্যা বৃহদাকার হওয়ার আগে সমাধানের পথ খুঁজুন আগেভাগেই—-

অতীত নয়, বর্তমানে থাকুন: অতীত জীবনে ভুল-ত্রুটিগুলির যত কাটা-ছেড়া করবেন, ততই বর্তমানের থেকে সরে যাবেন। তার থেকে ‘যা হয়েছে … হয়েগেছে ‘ বলে আজকের দিনটি নিয়ে ভাবুন।

অতীতের ছায়া বর্তমানে পড়তে দেবেন না: অতীতে ঘটা অঘটন ভবিষ্যতে ছায়া ফেলতে পারে, এই ভয়ে কুঁকড়ে থাকলে বেঁচে থাকা এক প্রকার কষ্টের, আর তো আপনার সঙ্গে খারাপ কিছু না-ও হতে পারে!

নানা বিষয়ে এমনটা ঘটতে পারে:

মনোমালিন্য
তর্ক বিতর্ক

অজানা আতঙ্কে ভোগান্তি

অকারণ মন্তব্যের কারণ খুঁজতে চাওয়া

অতীতচারণ
এসকল কারণ অযথাই মানসিক উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

এই চিন্তা-জাল থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন :

আপনি একজন মানুষ, আপনার মতো বহু মানুষ এই সমস্যার মধ্যে জর্জরিত, তারাও তো সমাধানের পথ বের করতে পেরেছে, তাহলে আপনি কেন পারবেন না।

১. সমস্যার সমাধান খুঁজুন, কারণ নয়।

২. আপনার নিয়ন্ত্রণ এর মধ্যে যা, তাই নিয়ে চিন্তা করুন।

৩. নিজেকে ভালবাসতে শিখুন।

৪. ধ্যানের মাধ্যমে নিজের মনোসংযোগ করুন।

৫. অন্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন চিন্তা আপন ভাবেই দুরে সরে যাবে।

এই সকল পথ অবলম্বন করুন চিন্তার জাল থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*